পর্তুগাল সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশি অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য কাজ এবং বসবাসের সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির অভিবাসন নীতির হঠাৎ এই পরিবর্তন অভিবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে যারা পর্তুগালে কাজের জন্য যাত্রা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
নতুন নীতির প্রভাব
কাজের ভিসা ছাড়া এখন থেকে বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকরা আর পর্তুগালে প্রবেশ করতে পারবেন না। অনিয়মিত পথে যাওয়া অভিবাসীদেরও আর বৈধ হওয়ার সুযোগ মিলবে না। এই সিদ্ধান্তের ফলে, পর্তুগালে বাংলাদেশি অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য কাজের ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে, যা পর্তুগালের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
সরকারের অবস্থান
পর্তুগালের অভিবাসন বিষয়ক নীতির প্রধান এবং উপমন্ত্রী রুই আর্মিন্দো ফ্রাইটাস জানিয়েছেন, এই পরিবর্তন ইউরোপীয় বিধি-বিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, অনিয়মিতভাবে প্রবেশকারী অভিবাসী কর্মীরা যে সহজে নিয়মিত হওয়ার সুযোগ পেতেন, তা অনেকে সুযোগের অপব্যবহার করছেন। এই প্রবণতা রোধ করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি ছিল।
ফ্রাইটাসের মতে, এই কঠোর সিদ্ধান্ত অভিবাসন সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানে সহায়ক হবে। উল্লেখ্য, পর্তুগালে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার অভিবাসন নিয়মিতকরণের আবেদন জমা পড়েছে, যা এখনও যাচাই-বাছাইয়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
সমালোচনা ও ডানপন্থী প্রভাব
অন্যদিকে, অভিবাসন-বিষয়ক এনজিওগুলো এই নীতির কড়াকড়িকে ডানপন্থী রাজনৈতিক শক্তির চাপে নেওয়া একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। এনজিও প্রতিনিধিরা বলছেন, অভিবাসনবিরোধী সমাবেশগুলো এবং ডানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের ফলেই পর্তুগাল সরকার অভিবাসন নীতিকে কঠোর করছে। তারা মনে করছেন, এর ফলে অনিয়মিত অভিবাসীরা আরও সমস্যার মধ্যে পড়বে।
পর্তুগালের এই নতুন নীতির ফলে বাংলাদেশি অভিবাসন প্রত্যাশীরা কঠিন অবস্থায় পড়েছেন। যারা আগে কাজের উদ্দেশ্যে বা বসবাসের জন্য দেশটিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাদের এখন নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা করে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিলের চেষ্টা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।