বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভে অংশগ্রহণের দায়ে শাস্তি পেয়ে দেশে ফিরলেন ১২ বাংলাদেশি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভে অংশগ্রহণের দায়ে শাস্তি পাওয়া ১২ জন বাংলাদেশি শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে দেশে ফিরেছেন। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুটি ভিন্ন ফ্লাইটে করে তারা দেশে ফিরলে পরিবারের সদস্যরা তাদের বরণ করে নেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বিক্ষোভ করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫৭ বাংলাদেশিকে দীর্ঘ মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল দেশটির আদালত।
আমিরাতের সরকারি বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএমের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, শুক্রবার বিক্ষোভ চলাকালে ‘জড়ো হওয়া ও দাঙ্গায় উসকানি দেওয়ার’ দায়ে তিন জনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বিগত হাসিনা সরকারের অবস্থান তাদের পক্ষে নয় বলে স্পষ্ট করেছিলেন সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন, ”সে দেশের আইন অনুযায়ী বিচার হয়েছে। সেই রাষ্ট্র তাদের নিয়মে চলবে। সেখানে আমাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। তবে আমি বলব, সেই দেশে বসবাস করে সে দেশের আইন ভঙ্গ করেছে তাদের শাস্তি হয়েছে, তাদের পক্ষে আমরা না। তারা আইন অমান্য করে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করলে দেশের ক্ষতি হবে। এটা কারও কাম্য হতে পারে না। যারা দেশের ক্ষতি করে তারা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু। ”
গত ৩ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান জানিয়ে আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট সাজাপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশি সবাইকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশিদের দণ্ড মওকুফ করার জন্য আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে শেখ জাহেদ বাংলাদেশিদের সাজা মওকুফ করেন।