আজকের কনটেন্ট-দুনিয়ায় “ক্যামেরা নেই”, “এডিটিং জানি না”, “সময় পাই না”—এসব আর অজুহাত নয়। এখন আপনি চাইলে একটাও শুটিং না করে, ভিডিও এডিটিং-এর কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই তৈরি করতে পারেন দুর্দান্ত সব ভিডিও। আর সেটাই সম্ভব এই ৭টি AI অ্যাসিস্ট্যান্টের সাহায্যে।
ধাপে ধাপে দেখে নিন কিভাবে একটি ভিডিও সম্পূর্ণ অটোমেশন দিয়ে তৈরি হয়ে যাবে—ভাবেননি এত সহজ হবে!
ধাপ ১: স্ক্রিপ্ট লেখা → ChatGPT
একটি ভালো ভিডিওর প্রাণ হলো তার স্ক্রিপ্ট। স্ক্রিপ্ট ভালো না হলে ভিডিও কখনোই দর্শককে ধরে রাখতে পারে না। এখানে আপনার সবচেয়ে শক্তিশালী এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট হলো ChatGPT।
ChatGPT আপনার জন্য এমন স্ক্রিপ্ট লিখে দেবে যা ভিডিওকে সহজেই ভাইরাল করতে পারে।
কীভাবে প্রম্পট দেবেন?
শুধু টপিক বললে চলবে না—
✔ ভিডিওর দৈর্ঘ্য
✔ টোন (মজার, সিরিয়াস, মোটিভেশনাল)
✔ কাদের জন্য বানাচ্ছেন
এসব উল্লেখ করবেন।
উদাহরণ প্রম্পট:
“Write a 30-second viral video script about the mental health benefits of traveling alone. The tone should be inspiring and the language simple for a young audience.”
এক ক্লিকেই স্ক্রিপ্ট রেডি।
ধাপ ২: ভয়েসওভার তৈরি → ElevenLabs
স্ক্রিপ্ট থাকল, এবার দরকার প্রফেশনাল ভয়েস। আগে ভয়েসওভার রেকর্ড করতে স্টুডিও ভাড়া করতে হতো, এখন শুধু টেক্সট দিলেই ElevenLabs আপনাকে দেবে বাস্তব মানুষের মতো ভয়েস।
কীভাবে প্রম্পট দেবেন?
ChatGPT-এর স্ক্রিপ্টটি পেস্ট করে বলুন—
“Convert this script into a warm and clear male voiceover.”
নারী, পুরুষ, ব্রিটিশ, আমেরিকান—যে ধরনের ভয়েস চান, সহজেই পাওয়া যায়।
ধাপ ৩: ভিডিও তৈরি → HeyGen
এখন ভয়েসওভারকেই জীবন্ত ভিডিওতে রূপ দেওয়ার সময়। HeyGen আপনাকে দেবে AI Avatar—যা ভিডিওতে একদম মানুষের মতো কথা বলবে। ক্যামেরা, লাইভ শুটিং বা স্টুডিও—কোনোটাই লাগবে না।
কীভাবে প্রম্পট দেবেন?
ভয়েসওভার আপলোড করে বলুন—
“Create a video with a professional-looking AI avatar presenting this script in a studio background.”
HeyGen আপনার স্ক্রিপ্টকে মুহূর্তেই ভিডিওতে পরিণত করবে।
ধাপ ৪: অটো সাবটাইটেল যোগ করা → Submagic
শর্ট ভিডিওর যুগে সাবটাইটেল ছাড়া আর চলেই না। কারণ অনেকেই ভিডিও সাইলেন্টে দেখে। Submagic আপনার ভিডিওতে ডাইনামিক সাবটাইটেল যোগ করে দেবে—ইমোজি, কালার, হাইলাইটসহ।
কীভাবে কাজ করে?
আপনার HeyGen ভিডিওটি আপলোড করুন।
AI অটোমেটিকভাবে—
✔ টাইমিং সেট করবে
✔ ডিজাইনযুক্ত সাবটাইটেল যোগ করবে
✔ ভুল-শুদ্ধ ঠিক করবে
এক ক্লিকে সাবটাইটেল রেডি।
ধাপ ৫: ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক → Soundful
একটি ভিডিওর অনুভূতি পুরোপুরি বদলে দিতে পারে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। Soundful আপনাকে কপিরাইট-ফ্রি মিউজিক তৈরি করতে সাহায্য করবে আপনার ভিডিওর মুড অনুযায়ী।
কীভাবে প্রম্পট দেবেন?
“Create background music for a motivational and inspiring-style reel.”
মিউজিক জেনারেশন শেষ—আর কপিরাইট সমস্যা নেই।
ধাপ ৬: ক্লিকবেট থাম্বনেইল তৈরি → Thumbnail.ai
ইউটিউবে ভিউ মূলত থাম্বনেইলের উপর নির্ভর করে। Thumbnail.ai আপনার ভিডিওর জন্য এমন থাম্বনেইল বানাবে যা দেখে ক্লিক না করে থাকা অসম্ভব।
কীভাবে প্রম্পট দেবেন?
“Generate 3 clickable YouTube thumbnails for a video titled ‘How AI is Changing Our Future’.”
অল্প সময়েই তিনটি পেশাদার লুকিং থাম্বনেইল।
ধাপ ৭: অটো পোস্ট শিডিউল → ContentStudio
এখন আপনার ভিডিও পুরোপুরি রেডি। এবার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করার পালা। ContentStudio আপনার হয়ে সঠিক সময় সঠিক প্ল্যাটফর্মে ভিডিও পোস্ট করে দেবে।
কীভাবে কাজ করে?
✔ ভিডিও আপলোড করুন
✔ ক্যাপশন ও হ্যাশট্যাগ দিন
✔ পোস্ট টাইম সিলেক্ট করুন
✔ ব্যস—অটোমেটেড পাবলিশিং শুরু!
সব মিলিয়ে — আপনার পুরো ভিডিও প্রোডাকশন এখন অটোমেটেড
এই ৭টি এআই টুল ব্যবহার করলে—
✅ শুটিং লাগবে না
✅ ক্যামেরা লাগবে না
✅ মাইক্রোফোন লাগবে না
✅ ভিডিও এডিটিং-এর অভিজ্ঞতা লাগবে না
✅ কপিরাইট নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই
✅ সবকিছু হবে অটো-পাইলটে
এখন চাইলে প্রতিদিন ভিডিও তৈরি করা আপনার জন্য একদম সহজ। আপনি শুধু একটি আইডিয়া দিন—বাকি সব করবে এআই।
