বিদেশ যাওয়া অনেকের জন্যই একটা স্বপ্ন। কিন্তু স্বপ্ন পূরণের আগে অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়। এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো বিদেশ যাওয়ার পূর্বের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)-তে আপনার নাম নিবন্ধন করুন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: আপনার পাসপোর্ট, ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত সনদপত্র, ইত্যাদির ফটোকপি জমা দিন।
প্রশিক্ষণ: বিএমইটি বিভিন্ন দেশের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করে।
তথ্য: বিএমইটি থেকে আপনি বিদেশ গমনের নিয়ম-কানুন, ভিসা প্রক্রিয়া, ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য পেতে পারবেন।
গন্তব্য দেশের ভাষা জেনে নিন এবং সংশ্লিষ্ট কাজের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন
ভাষা: আপনার যাওয়ার দেশের ভাষা শিখুন। স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ, কাজের ক্ষেত্রে ভালো করার জন্য ভাষা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
কাজের প্রশিক্ষণ: আপনি যে কাজের জন্য বিদেশ যাবেন সেই কাজের প্রশিক্ষণ নিন। প্রশিক্ষণ আপনাকে দক্ষ করে তুলবে এবং কাজের ক্ষেত্রে ভালো করতে সাহায্য করবে।
সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্ট এর মাধ্যমে বিদেশ যান
প্রতারকদের বিষয়ে সচেতন থাকুন: অনেক প্রতারক বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে।
সরকার অনুমোদিত এজেন্ট: শুধুমাত্র সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্ট এর মাধ্যমে বিদেশ যান।
এজেন্ট সম্পর্কে খোঁজ নিন: এজেন্ট সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ নিন, তাদের খ্যাতি, অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জেনে নিন।
চুক্তিপত্র: এজেন্টের সাথে স্পষ্ট চুক্তিপত্র করুন। চুক্তিতে সকল শর্তাবলী স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা উচিত।
নিজের পাসপোর্ট নিজেই রাখুন এবং ভিসা সংগ্রহ ও যাচাই করুন
পাসপোর্ট: আপনার পাসপোর্ট নিজের কাছে রাখুন। কখনোই অন্য কারো কাছে পাসপোর্ট জমা রাখবেন না।
ভিসা: নিজেই ভিসার জন্য আবেদন করুন এবং ভিসা সংগ্রহ করুন।
ভিসা যাচাই: ভিসা সঠিকভাবে প্রিন্টেড এবং বৈধ কিনা তা যাচাই করুন।
ভালমত পড়ে ও বুঝে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করুন
চুক্তিপত্রের গুরুত্ব: বিদেশ যাওয়ার জন্য রিক্রুটিং এজেন্টের সাথে চুক্তিপত্র করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাবধানে পড়ুন: চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করার আগে ভালো করে পড়ুন এবং বুঝুন।
শর্তাবলী: চুক্তিতে উল্লেখিত সকল শর্তাবলী সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিন।
অস্পষ্ট বিষয়: চুক্তিতে কোন অস্পষ্ট বিষয় থাকলে এজেন্টের কাছে জিজ্ঞাসা করুন।
স্বাক্ষর: চুক্তি সম্পর্কে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট হলেই স্বাক্ষর করুন।
অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার হতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন
স্বাস্থ্য পরীক্ষার গুরুত্ব: বিদেশ যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক।
অনুমোদিত সেন্টার: শুধুমাত্র সরকার অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।
পরীক্ষার রিপোর্ট: পরীক্ষার রিপোর্ট সাবধানে সংরক্ষণ করুন।
সংশ্লিষ্ট ডিইএমও অফিসে ফিঙ্গার প্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ দিন
ফিঙ্গার প্রিন্টের গুরুত্ব: বিদেশ যাওয়ার জন্য ডিইএমও অফিসে ফিঙ্গার প্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ দিতে হয়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: আপনার পাসপোর্ট, ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, ইত্যাদির ফটোকপি সাথে নিন।
ডিইএমও অফিস: আপনার এলাকার ডিইএমও অফিসে যোগাযোগ করুন এবং প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
বিদেশ যাওয়ার পূর্বে ৩ দিনের প্রাক বর্হিগমন প্রশিক্ষণে অংশ নিন
প্রশিক্ষণের গুরুত্ব: এই প্রশিক্ষণে আপনি বিদেশে থাকার নিয়ম-কানুন, সংস্কৃতি, ভাষা, ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু: প্রশিক্ষণে কাজের বাজার, চুক্তিপত্র, আইনি বিষয়, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রশিক্ষণের সুবিধা: প্রশিক্ষণ আপনাকে বিদেশে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
বিদেশ যাওয়ার পূর্বে ২টি ব্যাংক হিসাব খুলুন
ব্যাংক হিসাবের গুরুত্ব: বিদেশে থাকাকালীন আপনার বেতন, অন্যান্য আয়, খরচ ইত্যাদি পরিচালনার জন্য ব্যাংক হিসাব প্রয়োজন।
দুটি হিসাবের সুবিধা: একটি হিসাব ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য এবং অন্যটি বেতন ও অন্যান্য আয়ের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
বিএমইটির স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করুন
স্মার্ট কার্ডের গুরুত্ব: বিদেশে থাকাকালীন আপনার পরিচয় প্রমাণের জন্য স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
স্মার্ট কার্ডের সুবিধা: স্মার্ট কার্ডে আপনার পাসপোর্ট, ভিসা, কাজের অনুমতি, ইত্যাদির তথ্য থাকে।
বিদেশ যাওয়ার পূর্বে সমস্ত কাগজপত্রের ৩ সেট ফটোকপি করে সংরক্ষণ করুন
কাগজপত্রের গুরুত্ব: বিদেশে থাকাকালীন আপনার পাসপোর্ট, ভিসা, কাজের অনুমতি, চুক্তিপত্র, ইত্যাদির ফটোকপি প্রয়োজন হতে পারে।
ফটোকপি সংরক্ষণ: আপনার কাগজপত্রের ৩ সেট ফটোকপি করে আলাদা আলাদা জায়গায় সংরক্ষণ করুন।