ফেসবুকের শর্তাবলী এবং কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী, আপনি কেবল এমন কনটেন্ট পোস্ট করতে পারেন যা অন্য কারও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি অধিকারের লঙ্ঘন করে না। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হলো যা অনুসরণ করলে আপনি ফেসবুকে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন এড়াতে পারবেন।
নিজস্ব কনটেন্ট পোস্ট করুন
সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো, শুধুমাত্র আপনার তৈরি করা কনটেন্ট পোস্ট করা। অন্য কারও তৈরি কনটেন্ট পোস্ট করার মাধ্যমে আপনি কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করতে পারেন, এমনকি যদি আপনি:
- কোনো গান কিনে বা ডাউনলোড করে থাকেন (যেমন iTunes থেকে)।
- নিজের ডিভাইসে গান বা ভিডিও রেকর্ড করে থাকেন (যেমন কোনো পার্টি, কনসার্ট, খেলার অনুষ্ঠান, বিয়ে ইত্যাদির সময়)।
- কপিরাইট মালিককে ক্রেডিট দেন।
- একটি ডিসক্লেমার যোগ করেন যেখানে লেখা থাকে যে আপনি কপিরাইট লঙ্ঘনের উদ্দেশ্যে কাজ করেননি।
- এর থেকে কোনো আর্থিক লাভ করার পরিকল্পনা না করেন।
- কাজটি সম্পাদনা করেন বা নিজের কোনো মূল উপাদান যোগ করেন।
- এটি ইন্টারনেটে সহজলভ্য দেখেন।
- অন্যরাও একই কনটেন্ট পোস্ট করেছে বলে মনে করেন।
- মনে করেন এটি “ফেয়ার ইউজ” এর আওতায় পড়ে।
পোস্ট করার আগে কিছু প্রশ্ন বিবেচনা করুন
আপনার পোস্ট করা কনটেন্ট কপিরাইট লঙ্ঘন করবে কি না তা নিশ্চিত করতে নিচের প্রশ্নগুলো নিজেকে করুন:
- আমি কি পুরো কনটেন্টটি নিজে তৈরি করেছি?
- আমার পোস্টে অন্তর্ভুক্ত সব কনটেন্ট ব্যবহারের অনুমতি কি আমার রয়েছে?
- আমার কনটেন্টের ব্যবহার কি কপিরাইট লঙ্ঘনের কোনো ব্যতিক্রমের মধ্যে পড়ে?
- পোস্ট করা কনটেন্ট কি কপিরাইটের আওতাভুক্ত (যেমন কোনো সংক্ষিপ্ত বাক্য, ধারণা বা পাবলিক ডোমেইন কাজ)?
লিখিত অনুমতি নেওয়ার পরামর্শ
ফেসবুকে অন্য কারও তৈরি কনটেন্ট পোস্ট করার আগে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নেওয়া সর্বোত্তম। আপনি কোনো নির্দিষ্ট লাইসেন্স বা অনুমোদন পেলে সেই কনটেন্ট পোস্ট করতে পারেন। তাছাড়া, যদি কনটেন্টটি পাবলিক ডোমেইনে পড়ে, ফেয়ার ইউজের আওতায় থাকে, বা কপিরাইট লঙ্ঘনের অন্য কোনো ব্যতিক্রমের অন্তর্ভুক্ত হয়, তবে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন।
কপিরাইট এবং আইন কী সুরক্ষা দেয় সে সম্পর্কে আরও জানুন। এটি কেবল আপনার দায়িত্ব নয়, এটি সবার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি অংশও।
ফেসবুকে কনটেন্ট পোস্ট করার সময় সচেতন হোন এবং কপিরাইট আইন মেনে চলুন।