ফেসবুকে নীল টিক, মানে ভেরিফাইড প্রোফাইল বা পেজ থাকার অনেক সুবিধা আছে। আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়, অন্যদের থেকে আলাদা করে চিহ্নিত করা যায়, এবং স্প্যাম ও ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে অনেকেই জানেন না যেভাবে ফেসবুক ভেরিফাই করা যায়। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ফেসবুক ভেরিফাই করার সহজ পন্থা।
আপনার যা যা লাগবে:
- সরকারি পরিচয়পত্র: জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি।
- প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে: ব্যবসায়িক লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স, ওয়েবসাইট ইত্যাদি।
- স্পষ্ট ছবি: পরিচয়পত্রের স্পষ্ট ছবি এবং প্রোফাইল ছবি।
আজ আপনাকে জানাবো ফেসবুক প্রোফাইল ও পেইজ ভেরিফায়েড করবেন যেভাবে-
১. প্রথমে এই ঠিকানায় প্রবেশ করুন।
২. এরপর পেইজ বা প্রোফাইল নির্বাচন করুন।
৩. ডকুমেন্ট (ড্রাইভিং লাইসেন্স/এনআইডি/পাসপোর্ট) সংযুক্ত করুন।
৪. ক্যাটাগরি নির্বাচন করুন।
৫. দেশ নির্বাচন করুন।
৬. কেন ভেরিফাই করতে চান, কারা আপনাকে ফলো করে, কেন ফলো করে এ বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করবেন।
৭. আপনার নিজের/প্রতিষ্ঠানের যদি ভিন্ন কোনো নাম থাকে (এক/একাধিক) লিখুন। অথবা ভিন্ন ভাষায় একই নাম যেভাবে লিখেন তা লিখুন। প্রয়োজনে নামের বিষয়েও ব্যাখ্যা দিতে পারেন।
৮. ৫টি লিংক দিতে হবে। তার মধ্যে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে লেখা ৩-৪টি সংবাদের লিংক দিন। ব্যক্তির ক্ষেত্রে ব্যক্তির স্ব নামে প্রকাশিত সংবাদের লিংকও দেওয়া যাবে। এছাড়া ভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার ১-২টি লিংক দিতে হবে।
উপরের পন্থাগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই আপনার ফেসবুক প্রোফাইল বা পেজ ভেরিফাই করতে পারেন। নীল টিক আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে এবং আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে। ফেসবুক আপনার আবেদনটি পর্যালোচনা করে ভেরিফায়েড ব্যাজ যুক্ত করে দেবে। আবেদন বাতিলও করতে পারে সামাজিক যোগাযোগের সাইটটি। আবেদন যাচাইয়ের জন্য সাধারণত ৪৮ ঘণ্টা থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় নিয়ে থাকে ফেসবুক। ফেসবুক আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। যোগাযোগ, খবর, বিনোদন, ব্যবসা – সবকিছুই এখন ফেসবুকে। তাই ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়ে গেলে ক্ষতির পরিমাণ কতটা হতে পারে, তা ভাবতেই গা শিউরে ওঠে। ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করা এক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি আপনার আইডি এবং ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।