Bangla Helpline – বাংলা হেল্প লাইন

bangla helpline
ই-পাসপোর্ট

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ ই-পাসপোর্টের ব্যক্তিগত তথ্য এবং জরুরি যোগাযোগ পৃষ্ঠায় তিনটি সংশোধন করেছে (পারসোনাল ডেটা অ্যান্ড ইমার্জেন্সি কনটাক্ট) ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। গত ৪ ফেব্রুয়ারি এ–সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে মহাপরিচালকের পক্ষে অফিস আদেশটিতে স্বাক্ষর করেছেন পাসপোর্ট শাখার সহকারী পরিচালক মো. সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, এই সংশোধনী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়েছে।

সংশোধনী তিনটি হলো

 স্বামী-স্ত্রীর নাম

আগের ই-পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যের অংশটুকুতে পাসপোর্টধারীর নামের সাথে উল্লেখ থাকত বাবার নাম, মায়ের নাম, স্বামী বা স্ত্রীর নাম (স্পাউসেস নেইম)এবং স্থায়ী ঠিকানা। এখন এই অংশটি সংশোধন করা হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘স্পাউসেস নেম’ ঘরটি আর ই-পাসপোর্টে থাকছে না। বদলে সেখানে লেখা থাকবে ‘লিগ্যাল গার্ডিয়ান বা আইনগত অভিভাবক’। এটি প্রযোজ্য হবে শুধু দত্তক সন্তানের ক্ষেত্রে। তবে ‘লিগ্যাল গার্ডিয়ান নেইম’ অন্তর্ভুক্তকরণের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে আইনত অভিভাবকের অনাপত্তি সনদ আর তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের কপি প্রমাণপত্র হিসেবে পাসপোর্টের আবেদনের সময় জমা দিতে হবে।

বিস্তারিত ঠিকানা

ব্যক্তিগত তথ্য ও জরুরি যোগাযোগ অংশে ‘অ্যাড্রেস’ বা ঠিকানার ঘর দুটিতে ঠিকানা লেখার নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে। ব্যক্তিগত তথ্য ও জরুরি যোগাযোগসংক্রান্ত অংশে দুটি ‘অ্যাড্রেস’ বা ঠিকানার ঘর আছে। এতদিন পাসপোর্টধারীর স্থায়ী ঠিকানা ও মনোনীত ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দুই লাইনে ৪৮ শব্দের মধ্যে লিখতে হতো। এতে অনেকের পুরো ঠিকানা সেখানে সংকুলান হতো না। তাই এখন থেকে তিন লাইনে বা ৯৬ শব্দে ঠিকানা উল্লেখ করা যাবে। পূর্বে দুই লাইনে ৪৮ শব্দের মধ্যে ঠিকানা লিখতে হতো। 

কিউআর কোড বাদ

ই-পাসপোর্টে কিউআর কোড স্ক্যান করে পাসপোর্টধারীর নাম ও যোগাযোগ নম্বর পাওয়ার সুযোগটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হলো, এই তথ্যগুলো সহজলভ্য হওয়ার ফলে পাসপোর্টধারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে।এছাড়াও, কিউআর কোড স্ক্যান করে প্রাপ্ত তথ্যের সঠিকতা নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন ছিল।