চিতই কিংবা ছিটা রুটি ঘন ঝোলে ডুবিয়ে হাঁসের মাংস খাওয়ার মজা যে কতটা, তা শুধু ভোজনরসিকরাই জানেন। অনেকে তো বলে থাকেন, যিনি হাঁসের মাংস খাননি, তিনি মাংসের আসল স্বাদই পাননি। আর এই স্বাদ শুধু শীতেই নয়, ঢাকায় সারা বছর পাওয়া যায়। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এমন কিছু রেস্তোরাঁ আছে, যেখানে সারা বছরই তেলে–ঝালে ভরপুর হাঁসভুনা মেলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঢাকার এমন পাঁচটি জায়গার কথা—
১. নীলা মার্কেট, ৩০০ ফিট

লাকড়ির চুলায় ধোঁয়া ওঠা হাঁসের মাংস আর চাপ্টির সঙ্গে ঝাল ভর্তা—যা ছোটবেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। নীলা বাজারে পাওয়া যায় হাঁসভুনা, গরুভুনা, ধনেপাতা, চ্যাপা শুঁটকি, লইট্যা শুঁটকি ও টমেটো ভর্তা। দাম পড়বে হাঁসের মাংসের জন্য প্লেটপ্রতি ২৫০ টাকা, ভর্তা ১০ টাকা, চাপ্টি ১০ টাকা ও ডিম দেওয়া স্পেশাল চাপ্টি ৩০ টাকা। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাস বা অটোতে সহজেই যাওয়া যায়।
২. উঠান বৈঠক

মিরপুর ডিওএইচএস শপিং কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত উঠান বৈঠক মূলত পিঠার দোকান হলেও, হাঁসের মাংস দিয়ে ছিটা পিঠার জন্য বিখ্যাত। এখানে পাটিসাপটা, পোয়া, চিতই ও ভাপা পিঠা পাওয়া যায় ২০–৩০ টাকায়।
৩. হংস মাংস

মহানগর প্রজেক্টে নুসরাত লিজার উদ্যোগ ‘হংস মাংস’ শুধু হাঁসের মাংস বিক্রি করে। আস্ত রসুন দিয়ে তৈরি বিশেষ রেসিপি এই দোকানের বৈশিষ্ট্য। চার ধরনের প্যাকেজ রয়েছে—১৯৯, ৫৯৫, ১১৮৫ ও ২৩৮০ টাকা। অর্ডার করতে হবে ১২–২৪ ঘণ্টা আগে। হাতিরঝিল থেকে পিক করলে কোনো ডেলিভারি চার্জ নেই।
৪. উত্তরা দিয়াবাড়ি

এখানে কাজল আক্তারের দোকানে পাওয়া যায় চিনা ও দেশি হাঁসের মাংস এবং চালের রুটি। দাম প্লেটপ্রতি ২০০–২৫০ টাকা, চালের রুটি ১০ টাকা, হাঁসের ডিম দিয়ে ৫০ টাকা। দোকান খোলা থাকে বেলা ২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত।
৫. মিরপুর ১২
ইনফিনিটি মেগা মলের সামনে ভাসমান দোকান বসান মো. রনি ইসলাম। রাত ৮টা ৩০ মিনিট থেকে ২টা পর্যন্ত খোলা থাকে। হাঁসের ভুনা প্লেটপ্রতি ১০০ টাকা, ভাত ও খিচুড়ির কম্বো ১৩০ টাকা। গন্ধ ও স্বাদে এই হাঁসভুনা ভোজনরসিকদের মন জয় করেছে।
ঢাকার এই পাঁচ জায়গায় গিয়ে আপনি সারা বছরই হাঁসের মাংস ভুনার স্বাদ নিতে পারবেন, মৌসুমের অপেক্ষা করতে হবে না।