গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন তাদের সাধারণ ভিসা বিভাগে একটি নতুন কর্মভিসা ক্যাটাগরি “K ভিসা” যোগ করতে যাচ্ছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত (STEM) খাতে দক্ষ তরুণ পেশাদারদের আকর্ষণ করা।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বিদেশিদের প্রবেশ ও প্রস্থান প্রশাসনের নিয়ম সংশোধনের জন্য সম্প্রতি একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন। সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, নতুন ভিসা নীতি ১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, বেইজিংয়ের এই উদ্যোগকে যুক্তরাষ্ট্রের H-1B ভিসার চীনা সংস্করণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী কর্ম ভিসার নিয়ম ক্রমশ কঠোর হওয়ার মধ্যে চীন শীর্ষ প্রতিভাদের জন্য আরও নমনীয় ও সহজ একটি বিকল্প তৈরি করেছে।
K ভিসার মূল বৈশিষ্ট্য
- নমনীয়তা: একাধিক এন্ট্রি সুবিধা, দীর্ঘমেয়াদী ভিসা এবং দীর্ঘ সময় থাকার সুযোগ।
- স্পনসরশিপের প্রয়োজন নেই: স্থানীয় নিয়োগকর্তার আমন্ত্রণপত্র ছাড়াই আবেদন করা যাবে।
- কার্যকলাপের বিস্তৃত সুযোগ: একাডেমিক, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত, সাংস্কৃতিক, উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অনুমতি থাকবে।
সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে চীন ভ্রমণ করেছে ৩৮.০৫ মিলিয়ন বিদেশি, যা আগের বছরের তুলনায় ৩০.২% বেশি। এর মধ্যে ১৩.৬৪ মিলিয়ন বিদেশি ভিসামুক্ত প্রবেশের সুবিধা পেয়েছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ১ লাখ ডলারের H-1B ভিসার তুলনায় চীনের নতুন K ভিসা আরও নমনীয় এবং কম ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেক ভারতীয় ও দক্ষিণ এশীয় পেশাদাররা চীনে নতুন ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা বিবেচনা করছেন।