পর্তুগালে “গ্রীন লেন ফর ইমিগ্রেশন” চালু: সহজ হচ্ছে বিদেশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া

Fast track for foreign workers in Portugal Portubangla

বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও সহজ করতে পর্তুগালে চালু হয়েছে নতুন একটি উদ্যোগ — “গ্রীন লেন ফর ইমিগ্রেশন”। এই প্রটোকলটি মূলত বড় বড় কোম্পানিগুলোর জন্য প্রযোজ্য, যারা ইতোমধ্যেই বিদেশি নাগরিকদের সাথে কর্মসংস্থানের চুক্তি সম্পন্ন করেছে।

কোন সংস্থাগুলো এই চুক্তিতে যুক্ত?

এই প্রটোকলটি একাধিক সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • পর্তুগিজ কনসুলার অ্যাফেয়ার্স ও কমিউনিটি অধিদপ্তর (DGACCP)
  • এজেন্সি ফর ইন্টিগ্রেশন, মাইগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাসাইলাম (AIMA)
  • ইনস্টিটিউট অফ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ভোকেশনাল ট্রেইনিং (IEFP)
  • বর্ডার অ্যান্ড ফরেইনার্স কো-অর্ডিনেশন ইউনিট (UCFE)

যদিও এটি এপ্রিলের শুরুতে কার্যকর হয়েছে, এর কোনো নির্দিষ্ট সময়কাল নির্ধারিত নয়। নিরাপত্তা জনিত কারণে অথবা অতিরিক্ত চাপে পড়লে AIMA যে কোনো সময় এই প্রটোকল স্থগিত করতে পারে।

তবে, যদি প্রটোকল স্থগিতও হয়, তবুও ইতোমধ্যে ইস্যু হওয়া ভিসাগুলো বৈধ থাকবে।

কীভাবে কাজ করে “গ্রীন লেন ফর ইমিগ্রেশন”?

এই প্রক্রিয়াটি মোট ৫টি ধাপে সম্পন্ন হয়:

  1. নিয়োগকর্তা DGACCP-তে ইমেইলের মাধ্যমে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র পাঠায়।
  2. ২ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়াটি সংশ্লিষ্ট কনসুলার অফিসে পাঠানো হয় এবং সাক্ষাতের সময় নির্ধারণ হয়।
  3. প্রার্থী আসল নথিপত্র জমা দেয় এবং ভিসার প্রাথমিক মূল্যায়ন শুরু হয়।
  4. AIMA ও UCFE প্রয়োজনীয় মতামত প্রদান করে।
  5. কনসুলার অফিস চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায় এবং আবেদনকারীকে জানানো হয়।

এই প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণ আবশ্যক:

  • বৈধ চাকরির চুক্তি
  • পর্তুগিজ ভাষায় প্রশিক্ষণের সুযোগ
  • উপযুক্ত আবাসন ব্যবস্থা

এগুলো না থাকলে ভিসার জন্য বিবেচনা করা হবে না। যদি সব আইনগত শর্ত পূরণ থাকে, তবে আবেদনকারী কনসুলার অফিসে সাক্ষাতের ২০ দিনের মধ্যে ভিসা ইস্যু হওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *