Bangla Helpline – বাংলা হেল্প লাইন

আজকের আর্টিকেলে আমরা লন্ডন কৃষি ভিসা বা সিজনাল ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এই আলোচনা থেকে আপনি বুঝতে পারবেন কিভাবে লন্ডনের কৃষি ভিসা পেতে হয়। কিভাবে আবেদন করতে হবে এবং কত টাকা খরচ হতে পারে?

এই সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হবে. আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি লন্ডন এগ্রিকালচারাল ভিসা, সিজনাল ভিসা সম্পর্কে কিছুটা জানতে পারবেন।

যুক্তরাজ্যের কৃষকরা কয়েক দশক ধরে ইউরোপীয় অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর নির্ভর করে আসছেন।মৌসুমী কৃষি কর্মী স্কিমটি- 2008 সাল থেকে রোমানিয়ান এবং বুলগেরিয়ান নাগরিকদের জন্য সীমাবদ্ধ করা হয়েছিল। তারপর 2014 সালে এটি সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হয়েছিল। সরকার বিবেচনা করেছিল যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মীদের বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলি থেকে ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে আসার অনুমতি দিয়ে এই চাহিদা মেটানো যেতে পারে।

শ্রমের ঘাটতি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবাধ চলাচল বন্ধ করায় 2018 সালে একটি নতুন আরেকটি মৌসুমী কর্মী পাইলট স্কিম ঘোষণা করা হয়েছিল। একজন অভিবাসন উপদেষ্টা কমিটি বলেছে, “যদি এমন কোনো স্কিম না থাকে তাহলে উদ্যানপালন সম্ভবত সংকোচন হতে পারে এবং এমনকি অনেক ব্যবসা বন্ধ হতে পারে।

লন্ডন কৃষি ভিসায় কত হাজার মানুষের নেবে

২০২৩ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে ৪৫-৫৫ হাজার কর্মীকে কৃষি ভিসায় নেবে দেশটি। যেকোনো দেশ থেকে  এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

কোন এজেন্সির মাধ্যমে এই ভিসা পাওয়া সম্ভব

লন্ডন এগ্রিকালচারাল ভিসা বা সিজনাল ভিসা যেকোন এজেন্সির মাধ্যমে পাওয়া যায় না। তারা ৬টি নির্দিষ্ট এজেন্সি কথা উল্লেখ করেছে। ওই ছয়টি এজেন্সি ছাড়া আপনি এই ভিসা পাবেন না। ছয়টি নির্দিষ্ট এজেন্সি মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে এবং সবকিছু ঠিক থাকলে আপনি লন্ডন সিজনাল বা কৃষি ভিসা পাবেন।

যে  টি এজেন্সির মাধ্যমে আপনারা যেতে পারবেন সেই ছয়টি এজেন্সির লিংক এবং নাম নিচে উল্লেখ করা হলো।

  1. AG Recruitment and Management
  2. Fruitful Jobs
  3. PRO FORCE MARKETING LTD
  4. Concordia ltd
  5. RE People ltd
  6. Hopes labor Solution

লন্ডন কৃষি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে

অক্টোবর থেকে এই ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গেছে। আপনারা যারা লন্ডন কৃষি বিষয়ের জন্য আবেদন করতে চান তারা সবসময় আপডেট তথ্য সংগ্রহ করবেন। যে কোন সময় এই কৃষি ভিসার জন্য আবেদনের সময়সূচী প্রকাশ করতে পারে। তারপরে আপনি আবেদনের সময়সূচী পাওয়ার সাথে সাথে আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করবেন

কৃষি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া

আপনারা অনেকেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে লন্ডন এগ্রিকালচারাল ভিসা বা সিজনাল ভিসা সম্পর্কে জানেন। অনেকেই লন্ডনের কৃষি ভিসা বা সিজনাল ভিসা সম্পর্কে জানতে খুব আগ্রহী। তবে আমরা সবসময় (gov.uk) এই সাইটের মাধ্যমে

কৃষি ভিসা বা সিজনাল ভিসা সম্পর্কে লক্ষ্য রাখতে পরামর্শ দিব। লন্ডনের কৃষি এবং মৌসুমী ভিসা আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রবণতা রয়েছে।

আপনারা অনেকেই জানতে চান যে লন্ডন কৃষি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পন্ন করতে হবে। কোন ওয়েবসাইটে বা কোন এজেন্সির মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। যে ৬ টি এজেন্সির মাধ্যমে আপনি আবেদন করতে পারবেন। চলুন আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

এইসব এজেন্সিগুলো বিভিন্ন জব সাইটে  (indeed.com) সাধারনত তাদের কাজের সার্কুলারগুলো দিয়ে থাকে। সেজন্য এইসব সাইটে রেজিস্টার করে প্রথমে নিজের ভাল একটি সিভি তৈরি করতে হবে। তারপর যখন কৃষি বা সিজনাল ওয়ারকার সার্কুলারগুলো দিবে তখন এইসব কাজে আপনি Apply করতে পারবেন।

London Agriculture Visa

যদি তারা আপনার সিভি দেখে এবং আপনাকে যোগ্য মনে করে, তাহলে তারা আপনাকে ইমেল করবে এবং একটি ভাইভা জন্য কল করবে। তারপরে তারা যা যা বলে এবং সে অনুযায়ী কাজ করলে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। ওপরে উল্লেখিত ৬ টি নামের মধ্যে ওয়েবসাইটগুলোর লিংক দেওয়া আছে । তাদের  ওয়েবসাইটগুলো ভিজিট করলে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।

কত টাকা খরচ হতে পারে (আনুমানিক হিসাব)?

বাংলাদেশ থেকে লন্ডন এগ্রিকালচারাল ভিসা বা সিজনাল ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য আপনি যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে পারেন তা আনুমানিক 5,00,000-6,50,000 টাকা। এর মধ্যে ভিসা আবেদনের খরচ, চিকিৎসা পরীক্ষার খরচ এবং যুক্তরাজ্য থেকে ভ্রমণের খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এখানে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনের কৃষি ভিসা বা মৌসুমী ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য জড়িত খরচগুলির একটি ভাঙ্গন রয়েছে: ভিসা আবেদন ফি: BDT 18,000  মেডিকেল পরীক্ষা: 20,000-30,000। টাকা ইউকে থেকে টিকেট: BDT 150,000 – 3,00,000 অবশ্যই, এইগুলি শুধুমাত্র অনুমান এবং আপনার প্রকৃত খরচ পরিবর্তিত হতে পারে। যাইহোক, ভিসার জন্য আবেদন করার খরচগুলি কভার করার জন্য যথেষ্ট অর্থের জন্য বাজেট করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনার আবেদন প্রত্যাখ্যান না হয়।