শান্তিতে নোবেল জয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৪ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ শপথ গ্রহণ করেছে। বৃহস্পতিবার রাত নয়টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত শপথ অনুষ্ঠানে প্রথমে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রথম শপথ বাক্য পাঠ করান প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন। পরে অন্য উপদেষ্টারা শপথ গ্রহণ করেন। ৩জন উপদেষ্টা ঢাকার বাইরে থাকায় তারা পরে শপথ নেবেন বলে জানানো হয়।
উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা হলেন:
১. ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ (সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক)
২. ড. আসিফ নজরুল (অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
৩. আদিলুর রহমান খান (মানবাধিকার কর্মী)
৪. এ. এফ. হাসান আরিফ (সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল)
৫. তৌহিদ হোসেন (সাবেক রাষ্ট্রদূত)
৬. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী)
৭. শারমিন মুর্শিদ (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্রতী)
৮. ফারুক-ই-আযম (বীর প্রতীক) (শপথ নেননি))
৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন (সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা)
১০. সুপ্রদীপ চাকমা (পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত) (শপথ নেননি)
১১. বিধান রঞ্জন (চিকিৎসক) (শপথ নেননি)
১২. ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন (মাওলানা, হেফাজতের সাবেক নায়েবে আমির)
১৩. ফরিদা আখতার (উবিনীগ, উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা-এর নির্বাহী পরিচালক)
১৪. নুরজাহান বেগম (গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক)
১৫. মো. নাহিদ ইসলাম (প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন)
১৬. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন)
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। বীর শহীদ ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরুতে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সেনা বাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান হাসান মাহমুদ খাঁন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।