পিলখানা হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর হেডকোয়ার্টারে ঘটে যাওয়া এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ব্রিগেডিয়ার শাকিল আহমদসহ ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার একটি ষড়যন্ত্র লুকিয়ে ছিল।
দেশ স্বাধীনের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ঐক্যহীনতা এই ধরনের ঘটনার পেছনে প্রধান কারণ। বৈদেশিক ষড়যন্ত্র ও দেশীয় রাজনৈতিক দলগুলোর স্বার্থান্বেষী কার্যকলাপের ফলে দেশটি বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই বিভক্তির ফাটলেই পশ্চিমা শক্তি ও আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি হয়। পিলখানার নারকীয় ঘটনা এই ষড়যন্ত্রেরই একটি ফসল।
১/১১ এর পর থেকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে। ২০০৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার দুই মাসের মধ্যেই পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটে। এই ঘটনা দেশের সামরিক বাহিনীতে একটি গভীর আঘাত হানে এবং জনগণের মনে ভীষণ আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশকে বিদেশি শক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে হলে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ধর্মের প্রকৃত আদর্শ অনুসরণ করে এবং সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে আমাদের এই দেশকে একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ দেশে গড়ে তুলতে হবে।